Monday, July 25, 2011

আমাদের দূরবস্থার কারণ

মুসলমানদের দূরবস্থার কারণ

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের ইত্তেবা করে, সুন্নতের উপর আমল করে, নবীজির নুরানী আদর্শ অনুসরণ করে, সাহাবায়ে কেরাম দুনিয়াতে সম্মানিত হয়েছেন। আমরা আজ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ও আদর্শ ছেড়ে চরম অপমানিত ও লাঞ্চিত হয়েছি। আজ আমাদের মাঝে এ ভয় ঢুকে পড়েছে যে, আমরা যদি অমুক সুন্নতের উপর আমল করি তাহলে লোকে আমাদেরকে অসামাজিক বলবে। তারা আমাদেরকে নিয়ে হাসি তামাশা করবে। ইংল্যান্ড, রাশিয়া, আমেরিকা আমাদেরকে নিয়ে টিটকারী করবে, হাসি তামাশা করবে। যার ফলকথা হলো আজ আমরা পৃথিবীতে অপমানিত হচ্ছি। নতুবা আজ বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ মানুষ মুসলমান, বর্তমান বিশ্বে যা মুসলমান আছে পূর্বে এত সংখ্যক মুসলমান কখনও ছিল না। আজ মুসলমানদের কাছে যত সামান ও সামগ্রী আছে এমন সামগ্রী অতীতে ছিল না। কিন্তু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গিয়েছেন, ভবিশ্যতে এমন এক জমানা আসবে যখন তোমাদের সংখ্যা অনেক বেশি হবে, কিন্তু তোমরা তখন এমন হবে যেন স্রোতে ভাসমান আবর্জনা যার নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই। আক আমাদের অবস্থাও এমন। আমরা আজ শত্রুদের খুশী করার জন্যে নিজেদের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছি। নিজেদের আদর্শ ছেড়ে দিয়েছি। মাথা থেকে পা পর্যন্ত বিজাতীয় অনুকরণ করে শত্রুদেরকে এ প্রমাণ দিয়েছি যে, আমরা তোমাদের একান্ত অনুগত গোলাম। কিন্তু তারপরও প্রভুরা আমাদের ওপর খুশী নন। প্রতিদিন আমাদের মারছে। কখনও ইসরাঈল মারছে কখনও মারছে আমেরিকা আবার কখনও মারছে রাশিয়া। কখনও বসনিয়ার মুসলমানদের উপর জুলুম-নিরযাতন করা হচ্ছে। কখনও কাশ্মীরে মুসলমানেরা জুলুম অত্যাচার সহ্য করছে। হিন্দুস্তানের মুসলমান কাফের ও হিন্দুদের নির্যাতনের শিকার। প্রকৃত কথা হলো, মুসলমান যখন নবীজির সুন্নত বা আদর্শ ছেড়ে দিবে তখন তাদেরকে বিজাতির মার খাওয়া ছাড়া কোন গত্যন্ত্র থাকবে না। তাদেরকে পদে পদে লাঞ্চিত ও অপমানিত হতেই হবে। সুতরাং আমাদেরকে ইসলামী চেতনায় জেগে ওঠতে হবে, নিজস্ব স্বাতন্ত্রবজায় রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে হবে জীবনযুদ্ধে।

No comments:

Post a Comment