আগামী কালের কথা না ভেবে বর্তমান নিষ্ট হওয়াকেই বলে নির্ভরতা।
-হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রাহঃ)
দুটি জিনিস হৃদয় ধ্বংস করে। (১) অধিক ভোজন (২) বেশী শয়ন।
-মালেক দীনার (রাহঃ)
যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া কেবল মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে, সে যেন ফেরাউনের বিছানায় উপবিষ্ট হয়।
-হযরত যুননুর মিসরী (রঃ)
শপথ ও প্রতিজ্ঞা করা উচিত নহে। তবে শপথ বা প্রতিজ্ঞা করে বসলে তাহা পালন করবেন।
-হযরত বড় পীর (রাহঃ)
মুহাব্বতের নিদর্শন এই যে, বান্দা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করবে এবং সাথে সাথে তাঁর এ ভয় ও থাকবে যেন তাঁর নৈকট্য হতে সে বঞ্চিত না হয়।
-খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রাহঃ)
পিতা মাতার দিকে ভক্তি পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকানোও ইবাদত।
-খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রাহঃ)
সত্যিকার বন্ধু ঐ ব্যক্তি যে বন্ধুর দেওয়া বিপদকে হৃষ্ট চিত্তে গ্রহণ করে।
-খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রাহঃ)
রিপুর বাসনা যে ত্যাগ করেছে সে আল্লাহকে পেয়েছে। আর যে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেছে, সব কিছু তাঁর নাগালে এসে গেছে।
-হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রাহঃ)
জ্ঞান অর্জন করতে হবে জ্ঞানী ব্যক্তির কাছ থেকে।
-হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রাহঃ)
মানুষ ছাগল ভেড়ার চেয়েও অসাবধান। রাখালের ডাক শুনে পশুরা ঘাস খাওয়া বন্ধ করে তার কাছে ছুটে যায়। কিন্তু মানুষ তার প্রতিপালকের আহ্বান শুনেও ভ্রুক্ষেপ করে না। অসৎ কর্মেই লিপ্ত থাকে।
-হযরত হাসান বসরী (রাঃ)
যখন আল্লাহ অন্তরে বিরাজ করেন তখন মনে শান্তি আসে।
-হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাহঃ)
প্রকৃত বুদ্ধিমান সে-ই, যে নির্জনতা পছন্দ করে।
-হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাহঃ)
নিজেকে নিয়ামতের অনুপযুক্ত বলে ধারণা করাই হল কৃতজ্ঞতা।
-হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাহঃ)
আল্লাহ যাকে যোগ্য ও উপযুক্ত মনে করেন, তার পেছনে এক ফেরাউন লাগিয়ে দেন।
-হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রাহঃ)
যে ধ্যান একাগ্র নয় তা খুব বেশী হলেও ধ্যান নয়।
-হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রাহঃ)
অসুস্থ হৃদয়ের চারটি লক্ষণ। যথাঃ
(১) সে এবাদতে স্বাদ পায় না
(২) তার মনে আল্লাহর ভয় থাকে না
(৩) পার্থিব কার্যকলাপ থেকে উপদেশ গ্রহণ করে না
(৪) জ্ঞানের কথা শুনেও তার চর্চা করে না।
-হযরত যুনযুন (রাহঃ)
প্রতি মুহূর্তে আযাবের আশঙ্কায় সন্ত্রস্ত হয়ে থাকাকে বলে ভয়।
-হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাহঃ)
অতি দ্রুত কাজ করা শ্যতানের রীতি। তবু পাঁচটি কাজ দ্রুত করা চাই।
(১) অথিতির জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা
(২) মৃত ব্যক্তির কাফন দাফন
(৩) বয়স্কা কন্যার বিবাহের ব্যবস্থা করা
(৪) ঋণ পরিশোধ করা
(৫) পাপ করলে তওবা করা।
-হযরত হাতেম আসাম
আল্লাহর সন্তষ্টি মানেই আল্লাহর নির্দেশ পালন করা।
-হযরত হারেস মুহাসেবী (রাহঃ)
যে আল্লাহ কে ভয় করে সে অবশ্যই আল্লাহর পথে অবিচল থাকে। আর যে আল্লাহর পথে অবিচল থাকে, সে অবশ্যই মুক্তি প্রাপ্ত হয়।
-হযরত যুনযুন মিসরি (রাহঃ)
অল্প আহারে সাস্থের উন্নতি আর অল্প পাপে আত্মার অবনতি সাধিত হয়।
-হযরত যুনযুন মিসরি (রাহঃ)
No comments:
Post a Comment