Sunday, May 13, 2012

হযরত ইদ্রিস (আঃ) এবং তাঁর উপদেশ


হযরত ইদ্রিস (আঃ) এবং তাঁর উপদেশ

কোরয়ানে হযরত ইদ্রিস (আঃ)-এর আলোচনা
আল্লাহ পাক পবিত্র কোরয়ান মাজীদে শুধু দুই জায়গায় হযরত ইদ্রিস (আঃ) সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। সূরা মারইয়ামে ও সূরা আম্বিয়াতে।
১। সূরা মারইয়ামে আল্লাহ পাক বলেন,
  “আর স্মরণ করুন! ইদ্রিসকে! নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন যথার্থ নবী আর আমি তাঁর মর্যাদা উচ্চ করেছিলাম”।                                       -সূরা মারইয়ামঃ ৫৬-৫৭
২। সূরা আম্বিয়াতে আল্লাক পাক বলেন,
    “আর ইসমাইল, ইদ্রিস ও যুলকিফল এদের প্রত্যেকেই ধৈর্যশীল ছিলেন”। -সূরা আম্বিয়া-৮৫
হযরত ইদ্রিস (আঃ) এর উপদেশ-
হযরত ইদ্রিস (আঃ)-এর বহু উপদেশ, নছীহত, চালচলন ও আখলাক সম্পর্কীয় বাক্যাবলি প্রসিদ্ধ আছে, যা বিভিন্ন ভাষার প্রবাদ, রহস্য ও সূক্ষ্মতত্বরূপে ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে কয়েকটি বাক্য নিম্নে উল্লেখ করা হল-
১। আল্লাহর অফুরন্ত নেয়ামত সমূহের শোকর আদায় করা মানব ক্ষমতার বাইরে।

Tuesday, April 17, 2012

কুড়ানো মানিক (ছয়টি জিনিস ছয়টি জিনিসের মধ্যে নিহিত)


ছয়টি জিনিস ছয়টি জিনিসের মধ্যে নিহিত

আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা আঃ কে বললেন, হে মূসা! দুনিয়ার মানুষ আমার কাছে ছয়টি জিনিস চায়, আমিও তাদেরকে সেই ছয়টি জিনিস দিতে চাই। কিন্তু ঐ জিনিস আমি যেখানে রেখেছি, মানুষ তা সেখানে তালাশ না করে অন্য জায়গায় তালাশ করে। তাহলে মূসা! তুমিই বল, মানুষ তা পাবে কি করে? অতঃপর সে ছয়টি জিনিস আল্লাহ তায়ালা ব্যাখ্যা করে দিলেন।
১। দুনিয়ার মানুষ আমাকে সন্তুষ্ট করতে চায় আর আমিও তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে চায়। কিন্তু আমার সন্তুষ্ট রেখেছি আমি নফসের বিরুদ্ধাচরণের মাধ্যমে। অথচ মানুষ তা তালাশ করে নফসের গোলামীর মধ্যে।
২। সকল মানুষই শান্তি কামনা করে আর আমিও তাদেরকে শান্তি দিতে চাই। কিন্তু আমি শান্তি সংরক্ষিত রেখেছি জান্নাতের মধ্যে, অথচ মানুষ শান্তি তালাশ করে দুনিয়ার মধ্যে।
৩। মানুষ জ্ঞানী হতে চায় আর আমিও তাদেরকে জ্ঞান দিতে চাই। কিন্তু জ্ঞান রেখেছি আমি ক্ষুধার কষ্ট ও সবরের মধ্যে। আর মানুষ জ্ঞান তালাশ করে আরাম ও ভোগ বিলাসের মাঝে।

Monday, January 9, 2012

ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)-এর চারটি অমূল্য বাণী

ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)-এর চারটি অমূল্য বাণী

১। চারটি বস্তু দ্বারা শরীর বেশ পরিপুষ্ট হয়ঃ (ক) গোশত, (খ) সুগন্ধি, (গ) প্রতিদিন গোসল করা এবং (ঘ) সুতির কাপড় পরিধান করা।
২। চারটি বস্তু দ্বারা দৃষ্টিশক্তি বেশ তীক্ষ্ণ হয়ঃ (ক) কাবা শরীফ দর্শন করা, (খ) শোয়ার পূর্বে সুরমা ব্যবহার করা, (গ) গাঢ় সবুজ গাছপালার দিকে দৃষ্টিপাত করা এবং (ঘ) পরিষ্কার জায়গায় বসা।
৩। চারটি অভ্যাস দ্বারা বেশ বুদ্ধি বাড়েঃ (ক) নিরর্থক বাক্যালাপ পরিত্যাগ করা, (খ) নিয়মিত মিসওয়াক করা, (গ) নেক মানুষের সংসর্গে থাকা এবং (ঘ) আলেমগনের সাথে ওঠাবসা করা।
৪। চারটি অভ্যাস দ্বারা রিজিক বৃদ্ধি পায়ঃ (ক) নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামায পড়া, (খ) বেশী করে তাওবা-ইস্তিগফার করতে থাকা, (গ) বেশী বেশী সদকা করা এবং (ঘ) বেশী বেশী জিকির করা।



Saturday, January 7, 2012

জাহান্নামে প্রবেশের পর জাহান্নামীদের অবস্থা


জাহান্নামে প্রবেশের পর জাহান্নামীদের অবস্থা

আল্লাহ তায়ালা ফরমান-
“অতঃপর, হে পথভ্রষ্ট মিথ্যাবাদীবৃন্দ কণ্টকময় বৃক্ষফল হবে তোমাদের খাদ্য। এর দ্বারা তোমাদের উদরপূর্তি করতে হবে। আর ফুটন্ত গরম পানি পান করতে হবে। (সূরা ওয়াকিয়াঃ৫১-৫৫)
আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ফরমান-
“আমি পাপিদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষেপ করব”। (সূরা মারইয়ামঃ৮৬)
হযরত ইমরান বলেন- আমরা জানতে পেরেছি যে, কবর থেকে জাহান্নামীদের পিপাসার্ত অবস্থায় উঠানো হবে। আর কিয়ামতের মাঠেও জাহান্নামীরা তৃষ্ণার্ত অবস্থায় দন্ডায়মান থাকবে। উক্ত আয়াতের তাফসীরে হযরত মুজাহিদ বলেন যে, পিপাসার তীব্রতার কারণে জাহান্নামীদের ঘাড় বাঁকা হয়ে যাবে। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান- ইহুদী নাসারাগনকে জিজ্ঞাসা করা হবে তোমরা কি চাও? তারা বলবে- হে আল্লাহ আমরা তৃষ্ণার্ত আমাদেরকে পানি দিন। তখন তাদের প্রতি ইঙ্গিত হবে তোমরা সামনের দিকে হাটছনা কেন? অতঃপর তারা জাহান্নামের দিকে যেতে থাকবে। তখন তারা দূত থেকে পানির মত দেখতে থাকবে,  তখন তারা একে অপরের সাথে গল্প করতে করতে যেতে থাকবে। এমতাবস্থায় তারা জাহান্নামে পতিত হবে।
হযরত হাসান বসরী (রহঃ) থেকে মুহাদ্দিস হযরত আইয়ুব (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, মনে রেখো কিয়ামতের মাঠে ৫০ হাজার বছর এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তখন এক লোকমা খাদ্য, এক ঢোক পানিও পাবে না। পানির পিপাসায় ঘাড় বাঁকা হয়ে যাবে। ক্ষুধায় পেট পুড়ে যাবে। অতঃপর এ অবস্থায়ই জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। অথবা ফুটন্ত গরম পানি পান করতে দেয়া হবে। এ পানির গরমের তীব্রতায় পেটের নাড়ীভুড়ি বেরিয়ে যাবে।
হযরত কা’ব বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক যার উপর ক্রোধান্বিত হবেন তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিবেন। তখন এক লক্ষ বা আরো অধিক ফেরেশতা তাকে গ্রেফতার করবে। তার মাথা ও পা একত্রিত করা হবে। তারপর অধঃমুখ করে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
হযরত কাব বলেন, ফেরেশতাদের ক্রোধের চাইতে আগুনের ক্রোধ ৭০ গুন বেশী হবে। তারপর হযরত কাব বলেন, অপরাধীরা এক মুহূর্তের জন্য একটু পানি চাইবে। তখন তাদেরকে পানি দেয়া হবে বটে কিন্তু পানির ভীষণ উত্তাপে মুখের গোশত গলে পুড়ে যাবে। তারপর তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

ব্যভিচারিণী মহিলাদের যৌনাঙ্গের দুর্গন্ধ থেকে জাহান্নামীদের নিরাপত্তা কামনা


ব্যভিচারিণী মহিলাদের যৌনাঙ্গের দুর্গন্ধ থেকে জাহান্নামীদের নিরাপত্তা কামনা

জাহান্নামীদের মধ্যে কোন কোন জাহান্নামী এমনও হবে যে, অন্যান্য জাহান্নামীরা তার থেকে নিরাপত্তা কামনা করবে। এই নিরাপত্তা কামনা তাদের দুর্গন্ধের কারণে অথবা অন্য কোন কারণে হয়ে থাকে।
হযরত বুরাইদা (রাঃ) নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান- ব্যভিচারীদের যৌনাঙ্গের দুর্গন্ধ জাহান্নামীদিগকে মারাত্বক কষ্ট দিবে।

Friday, January 6, 2012

টাকনুর নীচে কাপড় পরিধানকারীর শাস্তি


টাকনুর নীচে কাপড় পরিধানকারীর শাস্তি

যে পাজামা টাকনুর নীচে চলে যাবে তা জাহান্নামে যাবে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক টাকনুর নীচে লুঙ্গি পরিধানকারীর প্রতি ফিরেও তাকাবেন না এবং তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন। (আবু দাউদ)
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে স্বর্ণের আংটি পরিহিত অবস্থাইয় দেখে তার হাত থেকে আংটিটি খুলে দূরে নিক্ষেপ করে দিলেন এবং বললেন তোমাদের অনেকেই আগুনের ফুলকি হাতে পরিধান করে। (মুসলিম)
উল্লেখ্য যে, পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম চাই তা যে পরিমাণই হউক না কেন। যে ব্যক্তি স্বর্ণ-রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করে সে যেন তার পেটে আগুন ভর্তি করে।
নাম-যশ প্রচারের জন্য যে ব্যক্তি কাপড় পরিধান করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে সে ধরনের পোষাকই পরিধান করাবেন তবে সে পোষাকে থাকবে আগুন।

Monday, January 2, 2012

নোয়াখালীতে লাশ দেখতে গিয়ে একই পরিবারের ৬ জন লাশ হয়ে ফিরলেন

নোয়াখালীতে লাশ দেখতে গিয়ে একই পরিবারের ৬ জন লাশ হয়ে ফিরলেন

 বিঃদ্রঃ এই খবরটি দৈনিক আমারদেশ (০২/০১/২০১২) থেকে নেয়া হয়েছে।

আমরা এই দিনে নতুন বছর উদযাপন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আর এই ৬ জন তাদের আসল ঠিকানায় চলে গেল। আমরা কি জানি তাদের সাথে আল্লাহ এবং তাঁর  ফেরেছতারা কি ব্যবহার করেছে? একদিন তো আমাদের কেও চলে যেতে হবে তাদের মত। কবরে গেলে কি আমাদের কে জিজ্ঞেস করা হবে আমরা ২০১২ সালের ১লা জানুয়ারি কেমন আনন্দ ফুর্তি করে ছিলাম। সময় থাকতে আসুন না পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির সাথে তাল না মিলিয়ে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের পথ অনুসরণ করি।


মামার জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে পরিবারের ৬ সদস্যসহ লাশ হয়ে ফিরলেন ঢাকার উত্তরার ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় তিনি এক ছেলে ও এক মেয়েসহ নিহত হন। এ সময় মারা যান পরিবারের আরও ৪ সদস্য। এ ঘটনা ছাড়াও পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ঢাকার মগবাজার এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন এক মহিলা। আমার দেশ-এর প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর :
মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত মহিলার মৃত্যু : স্টাফ রিপোর্টার জানান, রাজধানীর মগবাজার ওয়ারলেসগেট সংলগ্ন রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক মহিলার (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টায় ওই মহিলা রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় কমলাপুর থেকে বিমানবন্দরগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে যান তিনি।
ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মাথা থেঁতলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
খবর পেয়ে জিআরপি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। জিআরপি থানার এএসআই আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত মহিলার পরনে ছিল সবুজ রঙের স্কার্ট। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে নিহত ৭ : মামার জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সপরিবারে লাশ হয়ে ফিরলেন ঢাকার উত্তরার ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান (৫০)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর নাওতালা এলাকায়। এ সময় ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান ও তার পরিবারকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে গেলে তিনি এবং পরিবারের অপর ৬ সদস্য নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে রাতে যাত্রা করে ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়কের নাওতলা এলাকায় মুন্সীবাড়ির পুকুরে ভোর ৫টায় প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান (৫০), তার ছেলে শাহাদাত হোসেন (৮), মেয়ে শ্রাবণী (১৩), আত্মীয় সোহাগী (৩০), মিলি (২২), জ্যোতি (৩) ও প্রাইভেটকার চালক মোস্তাক আহমেদ (৩৫)।
নিহতদের পরিবারিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকার উত্তরার ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান নোয়াখালীর সদর উপজেলার দত্তেরহাটে গ্রামের বাড়িতে মামার জানাজায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। শনিবার রাতে তিনি প্রাইভেটকারে রওনা হন। ভোর ৫টায় সোনাইমুড়ীর পৌর এলাকার নাওতলার আনা মিয়া মুন্সীবাড়ির সামনে পৌঁছানর পর ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং প্রাইভেটকারটি পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় কারের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় ভেতরের সবাই দম বন্ধ হয়ে মারা যান।
সোনাইমুড়ী থানার এসআই শফিক জানান, মুসল্লিরা নামাজ পড়তে বের হয়ে প্রাইভেটকারটি পুকুরে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ ও গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

থার্টিফার্স্টে বাইরে যেতে না দেওয়ায় তরুণীর আত্মহত্র্যা


ডেসটিনি রিপোট
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় তানিয়া আক্তার নিলা (১৮) নামের এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে তেজকুনিপাড়ার ২৫০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, নিলা নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এরপর একটি এনজিওতে কাজ করে। গত শনিবার থার্টিফার্স্ট নাইটে ঘুরতে বাইরে বের হতে চাইলে তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। তার চাচারা তাকে বকাবকি করেন। ঘটনার সময় তার বাবা মোজাম্মেল হক ও মা রোজিনা বেগম বাসায় ছিলেন না। থার্টিফার্স্ট নাইটে বের হতে না দেওয়া ও বকাবকি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সকাল ৯টার দিকে বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে গুরুতর আহত হয়।

রাত-দিনের ঘটনাবলি ও রহস্যসমূহ


রাত-দিনের ঘটনাবলি ও রহস্যসমূহ
রাত-দিন আল্লাহর অলৌকিক নিদর্শন, দু’টি আশ্চর্য সৃষ্টি ও রহস্য ঘেরা মখলুক। এ জন্য কুরআনুল কারীমে বারবার এর উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন তিনি বলেছেন:
﴿ وَمِنۡ ءَايَٰتِهِ ٱلَّيۡلُ وَٱلنَّهَارُ ٣٧ ﴾ [فصلت: ٣٧] 
আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন [সূরা ফুস্‌সিলাত: (৩৭)] অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ وَهُوَ ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيۡلَ لِبَاسٗا وَٱلنَّوۡمَ سُبَاتٗا وَجَعَلَ ٱلنَّهَارَ نُشُورٗا ٤٧ ﴾ [الفرقان: ٤٧] 
আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ ও নিদ্রাকে আরামপ্রদ করেছেন এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত থাকার সময় [সূরা ফুরকান: (৪৭)] আরো ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ ٱللَّهُ ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيۡلَ لِتَسۡكُنُواْ فِيهِ وَٱلنَّهَارَ مُبۡصِرًاۚ ٦١ ﴾ [غافر: ٦١] 
আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল [সূরা গাফের: (৬১)] এ জাতীয় আরো আয়াত রয়েছে।

Sunday, January 1, 2012

ঘুমের হিকমত ও উপকারিতা


ঘুমের হিকমত ও উপকারিতা

আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
﴿ وَجَعَلۡنَا نَوۡمَكُمۡ سُبَاتٗا ٩ وَجَعَلۡنَا ٱلَّيۡلَ لِبَاسٗا ١٠ وَجَعَلۡنَا ٱلنَّهَارَ مَعَاشٗا ١١ ﴾ [النبا: ٩،  ١١] 
আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি বিশ্রাম। আর আমি রাতকে করেছি আবরণ। আর আমি দিনকে করেছি জীবিকার্জনের সময় [সূরা নাবা: (৯-১১)]
ঘুম আল্লাহর নিখুঁত পরিকল্পনার ফল। ঘুম মানুষের স্বস্তি আনয়ন করে, দিনের কঠোর পরিশ্রম ও কর্ম-ব্যস্ততা থেকে মুক্তি দেয়। ঘুম না মৃত্যু-না জীবন বরং উভয়ের মধ্যকার এক বিশেষ অবস্থা, শরীর ও অস্থির প্রশান্তি বিধায়কদিনের নানান কোলাহল ও কর্ম-ক্লান্তির বিপরীতে রয়েছে রাতের পিনপতন নীরবতাসব কিছু এমন সূক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয়, যা মানুষের চিন্তার অতীত, যেখানে তাদের ইচ্ছার কোন দখল নেই। জেগে আছে, অথচ জানে না কিভাবে জেগে আছে! ঘুমিয়ে আছে, অথচ জানে না কিভাবে ঘুমিয়ে আছে! এসব পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা তার নেই। এখানে বিদ্যমান জীব জগতের গূঢ় রহস্য, যা তার স্রষ্টা ব্যতীত কেউ জানে না। কোন প্রাণী লাগাতার নির্ঘুম থাকতে পারে না, যে কৃত্রিম উপায়ে চেষ্টা করবে, তার মৃত্যু নিশ্চিত।

রাত জাগার অপকারিতা।


রাত জাগার অপকারিতা
রাত জাগার অপকারিতা অনেক, যেমন:
১. রাত জাগার ফলে সুন্নতের বিরোধিতা হয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার পূর্বে ঘুম ও এশার পর কথোপকথন অপছন্দ করতেন। আবু বারযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
" أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَكْرَهُ النَّوْمَ قَبْلَ الْعِشَاءِ وَالْحَدِيثَ بَعْدَهَا "
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার পূর্বে ঘুম ও পরে কথাবার্তা অপছন্দ করতেন”। বুখারি: (৫৩৭), মুসলিম: (১০৩২)
২. রাত জাগার ফলে অনেক সময় ফজর সালাত জমাতের সাথে আদায় করা সম্ভব হয় না, যা পূর্ণ রাত কিয়াম করার সমতুল্য। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত:
«من صلَّى العشاء في جماعة، فكأنما قام نصف الليل، ومن صلى العشاء والفجر مع الجماعة، فكأنما قام الليل كله».
“যে ব্যক্তি জমাতের সাথে এশার সালাত আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত কিয়াম করল, আর যে এশা ও ফজর জমাতের সাথে আদায় করল, সে যেন পূর্ণ রাত কিয়াম করল”। [মুসলিম]
৩. আল্লাহ তাআলা নিজ হিকমতের দাবিতে মানব জাতির স্বস্তি, প্রশান্তি ও ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম গ্রহণের জন্য সৃষ্টি করেছেন রাত, যে রাত জাগল সে আল্লাহর হিকমতের বিপরীত কাজ করল।

রাত-দিন আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ


রাত-দিন আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ
আল্লাহ তাআলার দয়া ও অনুগ্রহ যে, তিনি রাতকে বানিয়েছেন অন্ধকার, যা মানব জাতির স্বস্তি ও বিশ্রাম উপযোগী। দিনকে বানিয়েছেন উজ্জ্বল, যা তাদের দ্বীন, দুনিয়া ও আখেরাতের কর্ম উপযুক্ত
১. আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
﴿ هُوَ ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيۡلَ لِتَسۡكُنُواْ فِيهِ وَٱلنَّهَارَ مُبۡصِرًاۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَسۡمَعُونَ ٦٧ ﴾ [يونس : ٦٧] 
তিনিই সে সত্তা, যিনি তোমাদের জন্য রাতকে সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাতে বিশ্রাম নাও এবং দিনকে করেছেন আলোকময়। নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শনাবলি এমন কওমের জন্য যারা শুনে [সূরা ইউনূস: (৬৭)]

ইসলাম বিনষ্টকারী বস্তু সমূহ


ইসলাম বিনষ্টকারী বস্তু সমূহ
ইসলামকে বিনষ্ট করে এমন বস্তু দশটি :
এক : আল্লাহর ইবাদাতে কাউকে শরিক বা অংশীদার করা। আল্লাহ বলেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ ইবাদাতে তার সাথে কাউকে শরিক বা অংশীদার মানাকে ক্ষমা করবেন না, এতদ্ব্যতীত যা কিছু আছে তা যাকে ইচ্ছা করেন ক্ষমা করবেন। [সূরা আন্‌-নিসা: ১১৬]
আরও বলেন : নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে তার উপর আল্লাহ তাআলা জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন, তার আবাস হবে জাহান্নামে, আর অত্যাচারী (শির্ককারী)-দের কোন সাহায্যকারী নেই। [সূরা আল-মায়েদা: ৭২]
আর এই শির্ক হিসেবে গণ্য হবে কবর অথবা মূর্তির জন্য কোন কিছু জবেহ করা।

তাওবার ফযীলত


ZIev
Avj­vn †h Kv‡R mš—zó Ggb me KvR Kg© Ki“b| †Kbbv †Kvb gvbylB Aciva I ΓwU gy³ bq| Avi mg¯— Av`g mš—vbB fz‡ji g‡a¨ wbgw¾Z i‡q‡Q| Avi DËg fzjKvix nj Avj­vni Kv‡Q ZIevKvix Avi gnvb Avj­vn ZvAvjv KziAv‡bi gva¨‡gGes gnvbex Ômvj­vj­vû AvjvBwn Iqvmvj­vgÕ nv`x‡mi gva¨‡g ¸bvn †_‡K ¶gv cÖv_©bv I ZIev Kivi cÖwZ DrmvwnZ K‡i‡Qb| Avj­vn ZvAvjv e‡jb †hÑ
]قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَاسْتَقِيمُوا إِلَيْهِ وَاسْتَغْفِرُوهُ[ (فصلت: من الآية6)
A_©vr, †n ivm~j Avcwb ejyb wbðq Avwg †Zvgv‡`i gZB GKRb gvbyl Avgvi wbKU cÖZ¨v‡`k cvVv‡bv nq| Avi wbðqB †Zvgv‡`i Bjvn Ggb gvÎ| †Zvgiv Zvi c‡_B w¯’i I my`„p _vK Ges ZviB Kv‡Q ¶gv cÖv_©bv Ki|
Avj­vn Av‡iv e‡jbÑ
]وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ[ (النور: من الآية31)
A_©vr †n gywgbMY †Zvgiv mK‡j wg‡j Avj­vni Kv‡Q ZIev Ki| Avkv Kiv hvq †Zvgiv mdjKvg n‡Z cvi‡e|
Avj­vn ZvAvjv Av‡iv e‡jbÑ
]يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحاً عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَار[ (التحريم: من الآية8)
A_©vr I‡n hviv Cgvb G‡bQ †Zvgiv †Zvgv‡`i i‡ei wbK‡U GKwbôZvi mv‡_ Keyj‡hvM¨ ZIev Ki| Avkv Kiv hvq †Zvgv‡`i ie †Zvgv‡`i †_‡K mKj ¸Yvn †gvPb Ki‡eb Ges †Zvgv‡`i‡K Ggb Rvbœv‡Z cÖ‡ek Kiv‡eb hvi Zj‡`k w`‡q SY©vaviv cÖvevwnZ nq|

তাওবা করলে পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।


তাওবা করলে পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়
‡KD nq‡Zv ej‡Z cv‡ib, Avwg ZvIev Ki‡Z PvB wKš‘ †K Avgv‡K wbðqZv †`‡e †h, Avj­vn Avgv‡K ¶gv Ki‡eb? Avwg mwVK c‡_ Pj‡Z PvB wKš‘ Avgvi g‡a¨ wØav-Ø›Ø i‡q‡Q, hw` Avwg wbwðZfv‡e Rvb‡Z cviZvg †h Avj­vn Avgv‡K ¶gv Ki‡eb Zvn‡j Avwg ZvIev KiZvg?
Avwg Zv‡K ej‡ev Avcbvi wfZ‡i †h Abyf~wZ m„wó n‡q‡Q ‡m Abyf~wZ BwZc~‡e© ivm~‡ji mvnvev‡`i g‡a¨ m„wó n‡qwQj| Avcwb hw` g‡bv‡hvM mnKv‡i wb‡æv³ `ywU †iIqv‡qZ c‡ob Zvn‡j Acvbvi g‡bi cÖkœ Avkv Kwi `~i n‡q hv‡e|
cÖ_gZ: Bgvg gymwjg ingvZzj­vn AvjvBwn Avg&i Be‡b AvÕm ivwhAvj­vû ZvÕAvjv Avbûi Bmjvg MÖn‡Yi NUbv eY©bv K‡ib|

খৃষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন: শরিয়ত কি বলে


উৎসব পালন  জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে একটি সামগ্রিক ফিনমিনন সুনির্দিষ্ট কোনো দিবসকে স্মরণীয় করে রাখার গভীর বাসনা থেকে, অথবা আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ, কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করা ইত্যাদি থেকে জন্ম নেয় বর্ষান্তরে উৎসব পালনের ঘটনা
আল্লাহ তাআলা মানুষের স্বভাবজাত বাসনা সম্পর্কে সুপরিজ্ঞাত তাই তিনি তা প্রকাশের মার্জিত সম্মানজনক পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন সৃষ্টিসংলগ্ন সামগ্রিক প্রজ্ঞাময়তা, পৃথিবীবক্ষে মানবপ্রজন্মের দায়দায়িত্ব, আল্লাহর ইবাদত দাসত্বের জিম্মাদারি ইত্যাদি বিবেচনায় রেখেই তিনি দিয়েছেন উৎসব পালনে সম্মানজনক বিধান আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ( রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আগমন করলেন তাদের ক্রীড়া-উল্লাসের ছিল দুটি দিবস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দিবস দুটি কি? উত্তরে তারা বললেন, জাহেলী যুগে দিবস দুটি ক্রীড়া-উল্লাসে কাটাতাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,আল্লাহ তাআলা দিবস দুটির পরিবর্তে উত্তম দুটি দিবস তোমাদেরকে দিয়েছেন- ঈদুল আযহা ঈদুল ফিতর [ আবু দাউদ, আহমদ] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর রা. কে বললেন,হে আবু বকর! প্রত্যেক জাতিরই উৎসব রয়েছে, আর এটা আমাদের উৎসব[ বুখারি ]