Thursday, September 28, 2017

খলীফা হযরত উসমান (রাঃ)-এর মূল্যবান উপদেশ


খলীফা হযরত উসমান (রাঃ)-এর মূল্যবান কয়েকটি উপদেশ

  •   পাপ কোন না কোনভাবে মনের শান্তি বিনষ্ট করে। 
  • যার হাতে অন্যের নিন্দাবাদ করার মতো পর্যাপ্ত সময় থাকে, তার চাইতে হতভাগা আর কেউই হতে পারে না।
  •  উত্তম পোশাকের লোভ যাদের অন্তরে, তাদের কাফনের কথা স্মরণ করা উচিত। উত্তম বাড়ির আকাঙ্খা যাদের অন্তরে, তাদের উচিত কবরের ছোট্র গর্তটির কথা স্মরণ করা। যারা সুস্বাদু খাবারের কথা সব সময় ভাবে তাদের কর্তব্য হচ্ছে- নিজের পচা-গলা লাশটি যে শেষ পর্যন্ত কীটের খোরাল হবে তা স্মরণ করা।
  •   যার হাতে অন্যের নিন্দাবাদ করার মতো পর্যাপ্ত সময় থাকে, তার চাইতে হতভাগা আর কেউই হতে পারে না।

Thursday, May 28, 2015

ইসলামের প্রথম কয়েকটি কাজ যাদের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ তাআলা করিয়েছিলেন।।




ইসলামের প্রথম কাজসমূহঃ

  • সর্বপ্রথম মেসওয়াক ব্যবহার করেন-হযরত ইবরাহীম (আঃ)
  • সর্বপ্রথম সেলাই করা কাপড় পরেন-হযরত ইদ্রিস (আঃ)
  • সর্বপ্রথম পাগড়ি ব্যবহার করেন-বাদশাহ যুল কারনাইন
  • সর্বপ্রথম জামাতের সাথে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সালাতুয যোহর আদায় করেন।
  • সর্বপ্রথম মিম্বরে খুতবাহ দেন-হযরত ইবরাহীম (আঃ)
  • সর্বপ্রথম আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী-হযরত ইবরাহীম (আঃ)
  • সর্বপ্রথম আল্লাহর রাস্তায় তীর নিক্ষেপ করেন-সাদ ইবনে আমী ওয়াক্কাস (রাঃ)।
  • সর্বপ্রথম আল্লাহর আদেশ অমান্যকারী-ইবলিশ।
  • সর্বপ্রথম পৃথিবীর মানচিত্র অংকন করেন-মহান মনীষী আল বিরুনী।

নয়টি বিষয় পরিত্যাগ করলে আল্লাহ তাআলা নয়টি বিষয় দান দান করেন

নয়টি বিষয় পরিত্যাগ করলে আল্লাহ তাআলা নয়টি বিশয় দান দান করেনঃ-

১। যে অর্থহীন দৃষ্টিপাত পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে খুশু দান করবেন।
২। যে অহংকার পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে বিনয় ও নম্রতা দান করবেন।
৩। যে অনর্থক কথা বার্তা পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে হিকমত(প্রজ্ঞা কৌশল) দান করবেন।

অনাবশ্যক কথাবার্তার শাস্তি


অনাবশ্যক কথাবার্তার শাস্তি

কোন মানুষ যখন ঠাট্রা বিদ্রুপ করে অন্যকে হাসায়, তখন আল্লাহ পাক তার প্রতি রাগান্বিত হন। তাকে জাহান্নামের ফায়সালা না করা পর্যন্ত আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হননা। (বুখারী-মুসলিম)
কোন কোন সময় মানুষের মুখ থেকে এমন কিছু অসংলগ্ন কথা বেরিয়ে পড়ে যা তাকে জাহান্নামের তলদেশের উপযোগী করে দেয়। (বুখারী-মুসলিম) অকথ্য ভাষা অত্যাচারের শামিল, আর অত্যাচারী হবে জাহান্নামের অন্তর্ভুক্ত। অনাবশ্যক কথন এবং অশ্রাব্য ভাষা শয়তানের সাথে সম্পর্কিত। এ দুটি আগুনের অতি নিকতে এবং জান্নাতের অনেক দূরে।

Sunday, May 13, 2012

হযরত ইদ্রিস (আঃ) এবং তাঁর উপদেশ


হযরত ইদ্রিস (আঃ) এবং তাঁর উপদেশ

কোরয়ানে হযরত ইদ্রিস (আঃ)-এর আলোচনা
আল্লাহ পাক পবিত্র কোরয়ান মাজীদে শুধু দুই জায়গায় হযরত ইদ্রিস (আঃ) সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। সূরা মারইয়ামে ও সূরা আম্বিয়াতে।
১। সূরা মারইয়ামে আল্লাহ পাক বলেন,
  “আর স্মরণ করুন! ইদ্রিসকে! নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন যথার্থ নবী আর আমি তাঁর মর্যাদা উচ্চ করেছিলাম”।                                       -সূরা মারইয়ামঃ ৫৬-৫৭
২। সূরা আম্বিয়াতে আল্লাক পাক বলেন,
    “আর ইসমাইল, ইদ্রিস ও যুলকিফল এদের প্রত্যেকেই ধৈর্যশীল ছিলেন”। -সূরা আম্বিয়া-৮৫
হযরত ইদ্রিস (আঃ) এর উপদেশ-
হযরত ইদ্রিস (আঃ)-এর বহু উপদেশ, নছীহত, চালচলন ও আখলাক সম্পর্কীয় বাক্যাবলি প্রসিদ্ধ আছে, যা বিভিন্ন ভাষার প্রবাদ, রহস্য ও সূক্ষ্মতত্বরূপে ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে কয়েকটি বাক্য নিম্নে উল্লেখ করা হল-
১। আল্লাহর অফুরন্ত নেয়ামত সমূহের শোকর আদায় করা মানব ক্ষমতার বাইরে।

Tuesday, April 17, 2012

কুড়ানো মানিক (ছয়টি জিনিস ছয়টি জিনিসের মধ্যে নিহিত)


ছয়টি জিনিস ছয়টি জিনিসের মধ্যে নিহিত

আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা আঃ কে বললেন, হে মূসা! দুনিয়ার মানুষ আমার কাছে ছয়টি জিনিস চায়, আমিও তাদেরকে সেই ছয়টি জিনিস দিতে চাই। কিন্তু ঐ জিনিস আমি যেখানে রেখেছি, মানুষ তা সেখানে তালাশ না করে অন্য জায়গায় তালাশ করে। তাহলে মূসা! তুমিই বল, মানুষ তা পাবে কি করে? অতঃপর সে ছয়টি জিনিস আল্লাহ তায়ালা ব্যাখ্যা করে দিলেন।
১। দুনিয়ার মানুষ আমাকে সন্তুষ্ট করতে চায় আর আমিও তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে চায়। কিন্তু আমার সন্তুষ্ট রেখেছি আমি নফসের বিরুদ্ধাচরণের মাধ্যমে। অথচ মানুষ তা তালাশ করে নফসের গোলামীর মধ্যে।
২। সকল মানুষই শান্তি কামনা করে আর আমিও তাদেরকে শান্তি দিতে চাই। কিন্তু আমি শান্তি সংরক্ষিত রেখেছি জান্নাতের মধ্যে, অথচ মানুষ শান্তি তালাশ করে দুনিয়ার মধ্যে।
৩। মানুষ জ্ঞানী হতে চায় আর আমিও তাদেরকে জ্ঞান দিতে চাই। কিন্তু জ্ঞান রেখেছি আমি ক্ষুধার কষ্ট ও সবরের মধ্যে। আর মানুষ জ্ঞান তালাশ করে আরাম ও ভোগ বিলাসের মাঝে।

Monday, January 9, 2012

ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)-এর চারটি অমূল্য বাণী

ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)-এর চারটি অমূল্য বাণী

১। চারটি বস্তু দ্বারা শরীর বেশ পরিপুষ্ট হয়ঃ (ক) গোশত, (খ) সুগন্ধি, (গ) প্রতিদিন গোসল করা এবং (ঘ) সুতির কাপড় পরিধান করা।
২। চারটি বস্তু দ্বারা দৃষ্টিশক্তি বেশ তীক্ষ্ণ হয়ঃ (ক) কাবা শরীফ দর্শন করা, (খ) শোয়ার পূর্বে সুরমা ব্যবহার করা, (গ) গাঢ় সবুজ গাছপালার দিকে দৃষ্টিপাত করা এবং (ঘ) পরিষ্কার জায়গায় বসা।
৩। চারটি অভ্যাস দ্বারা বেশ বুদ্ধি বাড়েঃ (ক) নিরর্থক বাক্যালাপ পরিত্যাগ করা, (খ) নিয়মিত মিসওয়াক করা, (গ) নেক মানুষের সংসর্গে থাকা এবং (ঘ) আলেমগনের সাথে ওঠাবসা করা।
৪। চারটি অভ্যাস দ্বারা রিজিক বৃদ্ধি পায়ঃ (ক) নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামায পড়া, (খ) বেশী করে তাওবা-ইস্তিগফার করতে থাকা, (গ) বেশী বেশী সদকা করা এবং (ঘ) বেশী বেশী জিকির করা।