Sunday, July 24, 2011

আসুন নিজেদের মুহাসাবা করি

আসুন-নিজেদের মুহাসাবা করি

ইসলাম প্রকৃতির ধর্ম। সকল মানুষ জন্মসূত্রে মুসলমান। কিন্তু পরিবেশ, পারিপার্শ্বিকতা, পরিস্থিতি, শিক্ষা ও কৃষ্টির প্রভাবে কারো মুসলমানত্তে বিপর্যয় নেমে আসে। মানুষ তার জ্ঞান পরিধি অনুসারে জবাবদিহিতাধীন। দ্বীনের মৌলিক বিষয়াদি মোটামোটি সকল মুসলমানেরই জানা। নামায, রোযা, সত্যবাদিতা, ন্যয়পরায়ণতা, হালাল গ্রহণ ইত্যাদি ফরজ- এতা সবাই জানেন। গান-বাধ্য, পরদাহীনতা, ব্যভিচার, অবিচার, সুদ, ঘুষ প্রভৃতি হারাম- তাও সকলে জানেন। কিন্তু শুধু জানলে মুসলমানিত্ব হয় না, তা সর্বোপরি পালনই মুসলমানিত্তের মাপকাঠি।

দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এদেশের জনগনের শতকরা ৯০ জন মুসলমান। এদেশের মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। আমাদের এ উল্লেখযোগ্য সংখ্যার কতজন পুরোপুরি দ্বীন মেনে চলেন? লাখে ক'জন হবেন যে, তারা সর্বতোভাবে যথাযথ দ্বীন পালনে পূর্ণ তৎপর? অনেকেই আমরা রীতিমত নামায পড়ি না। রোযার ব্যপারে সুবিধার তালাশি। হজ্জ-যাকাতের ব্যপারে বে-তোয়াক্কা। অথচ এগুলো দ্বীনের মূল স্তম্ভ। তদোপরি পারিবারিক দায়িত্ব ও সামাজিক কর্তব্য সম্পর্কে অচেতন। সুদ-ঘুষ দেদারসে দেয়া নেয়া হচ্ছে। মিত্থ্যাচার-প্রতারণা অবাধে চলছে। স্বার্থ উদ্ধারে যেন মোহান্ধ। খাওয়া-পরায় বাছ বিচার নাই।

আর অপসংস্কৃতির ভয়াবহ আক্রমনের ব্যপার তো আরো কারণ। বেপর্দা মেয়েদের লাগামহীন বিচরণের পরিবেশে মুসলমানিত্তই আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। ঘরে ঘরে উন্মুক্ত অশ্লীল টিভি, ভিসিডি ও গান-বাদ্যের দাপটে দ্বীনদারী ধুলাপ্লুত। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় দ্বীন ঈমানই যেন প্রাণফাটা রোদনরত।

আমাদের একি করুন হাল! মুসলমান দাবী করছি, কিন্তু আমাদের ক'জনের আছে মুসলমানী আমল? সময় থাকতে আমরা কর্তব্য নির্ধারণ করে নিজেদেরকে সংশোধনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারি। পরকালীন মুক্তির জন্য এ ছাড়া গত্যন্তর নেই।

No comments:

Post a Comment