হযরত ইদ্রিস (আঃ) এবং তাঁর উপদেশ
কোরয়ানে হযরত ইদ্রিস
(আঃ)-এর আলোচনা
আল্লাহ পাক পবিত্র
কোরয়ান মাজীদে শুধু দুই জায়গায় হযরত ইদ্রিস (আঃ) সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। সূরা
মারইয়ামে ও সূরা আম্বিয়াতে।
১। সূরা মারইয়ামে
আল্লাহ পাক বলেন,
“আর স্মরণ করুন! ইদ্রিসকে! নিঃসন্দেহে তিনি
ছিলেন যথার্থ নবী আর আমি তাঁর মর্যাদা উচ্চ করেছিলাম”। -সূরা
মারইয়ামঃ ৫৬-৫৭
২। সূরা আম্বিয়াতে
আল্লাক পাক বলেন,
“আর ইসমাইল, ইদ্রিস ও যুলকিফল এদের
প্রত্যেকেই ধৈর্যশীল ছিলেন”। -সূরা আম্বিয়া-৮৫
হযরত ইদ্রিস (আঃ) এর
উপদেশ-
হযরত ইদ্রিস (আঃ)-এর
বহু উপদেশ, নছীহত, চালচলন ও আখলাক সম্পর্কীয় বাক্যাবলি প্রসিদ্ধ আছে, যা বিভিন্ন
ভাষার প্রবাদ, রহস্য ও সূক্ষ্মতত্বরূপে ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে কয়েকটি বাক্য নিম্নে
উল্লেখ করা হল-
১। আল্লাহর অফুরন্ত
নেয়ামত সমূহের শোকর আদায় করা মানব ক্ষমতার বাইরে।
২। যে ব্যক্তি ইলমে
পূর্ণতা অর্জন করে এবং নেক আমলের আশা করে তার পক্ষে মূর্খতার কারণসমূহ এবং অসৎ
কাজের কাছেও যাওয়া উচিত নয়। তুমি কি দেখনা যে, প্রত্যেক দর্জি সেলাই করার ইচ্ছা
করলে সূচ হাতে লয়। বর্শা হাতে লয় না। প্রত্যেক সময়ে এ বাক্যটির প্রতি যেন লক্ষ
থাকে যে- “আল্লাহকেও পেতে চাবে, তার সাথে দুনিয়ার মোহেও মত্ত থাকবে, তা সম্পূর্ণ
অসম্ভব কল্পনা এবং পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়”।
৩। দুনিয়ার
ধন-সম্পদের পরিণাম আক্ষেপ স্বরূপ এবং মন্দ কাজের পরিণাম অনুতাপস্বরূপ।
৪। আল্লাহ পাকের
জিকির এবং নেক আমলে খাঁটি নিয়ত থাকা পূর্ব শর্ত।
৫। মিথ্যা শপথো করো
না, আল্লাহ পাকের পবিত্র নামকে কসমের জন্য অনুশীলনীয় শ্লেটরূপেও ব্যবহার করো না।
মিথ্যাবাদীগনকে কসম খাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করো না। কেননা, এরূপ করলে তুমিও তার
পাপের অংশীদার হবে।
৬। হীন পেশা অবলম্বন
করবে না, (যেমন শিঙ্গা লাগান, গরু ছাগল ইত্যাদি পশুকে পাল দেওয়ায়ে বিনিময় গ্রহণ
করা ইত্যাদি)।
৭। বাদশাহকে মান্য
করবে। নিজের মুরব্বি ও বয়ঃজ্যেষ্টদের সামনে অবনত থাকবে, আর সর্বক্ষণ আল্লাহর
প্রশংসা দ্বারা নিজের রসনাকে ভিজিয়ে রাখবে।
৮। জ্ঞান-বিজ্ঞান
আত্নার জীবন।
৯। অন্যের স্বচ্ছল
জীবিকার প্রতি হিংসা পোশন করবে না কারণ তার এ আনন্দময় জীবন অল্প সময়ের জন্য।
১০। যে ব্যক্তি
জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনের চেয়ে বেশী আশা করে, সে কখনো তৃপ্ত হতে পারে না।
No comments:
Post a Comment