Monday, January 2, 2012

রাত-দিনের ঘটনাবলি ও রহস্যসমূহ


রাত-দিনের ঘটনাবলি ও রহস্যসমূহ
রাত-দিন আল্লাহর অলৌকিক নিদর্শন, দু’টি আশ্চর্য সৃষ্টি ও রহস্য ঘেরা মখলুক। এ জন্য কুরআনুল কারীমে বারবার এর উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন তিনি বলেছেন:
﴿ وَمِنۡ ءَايَٰتِهِ ٱلَّيۡلُ وَٱلنَّهَارُ ٣٧ ﴾ [فصلت: ٣٧] 
আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন [সূরা ফুস্‌সিলাত: (৩৭)] অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ وَهُوَ ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيۡلَ لِبَاسٗا وَٱلنَّوۡمَ سُبَاتٗا وَجَعَلَ ٱلنَّهَارَ نُشُورٗا ٤٧ ﴾ [الفرقان: ٤٧] 
আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে আবরণ ও নিদ্রাকে আরামপ্রদ করেছেন এবং দিনকে করেছেন জাগ্রত থাকার সময় [সূরা ফুরকান: (৪৭)] আরো ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ ٱللَّهُ ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيۡلَ لِتَسۡكُنُواْ فِيهِ وَٱلنَّهَارَ مُبۡصِرًاۚ ٦١ ﴾ [غافر: ٦١] 
আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল [সূরা গাফের: (৬১)] এ জাতীয় আরো আয়াত রয়েছে।

এসব আয়াতে আল্লাহর কুদরত লক্ষ্য করুন। তিনি রাতকে স্বস্তি ও পৃথিবীর আচ্ছাদন বানিয়েছেন। এতে সর্বত্র পিনপতন নীরবতা বিরাজ করে ও যাবতীয় কোলাহল স্তিমিত হয়। প্রতিটি প্রাণী নিজ নিজ আশ্রয় স্থলে ফিরে যায়। আত্মাগুলো দিনের ক্লান্তি শেষে বিশ্রাম গ্রহণ করে। অতঃপর প্রভাত উদ্ভাসক আগমন করেন দিনের আলো ও উজ্জ্বলতা নিয়ে, ফলে অন্ধকার বিদীর্ণ করে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। রাত শেষে পুনরায় জীব জগত জীবিকা নির্বাহ ও কর্ম ব্যস্ততায় মগ্ন হয়। মানুষেরা বিছানা ত্যাগ করে কর্মে যোগদান করছে, পাখিগুলো তাদের বাসা থেকে বের হয়ে আসছে! এ পুনরুত্থান ও পুনর্জীবন কিয়ামতের পুনরুত্থান ও পুনর্জীবনের প্রমাণ নয়! সন্দেহ নেই পৃথিবীর এ প্রকৃতি পরকালের পুনরুত্থান ও পুনর্জীবনের আশ্চর্য এক নমুনা! কিন্তু নিত্য ঘটমান তাই আমরা একে গতানুগতিক নিয়ম জ্ঞান করি, কোন উপদেশ গ্রহণ করি না আমরা এ থেকে গাফেল, অন্যমনস্ক। যাকে ইচ্ছে আল্লাহ হিদায়েত দান করেন, যাকে ইচ্ছে তিনি গোমরাহ করেন। যাকে ইচ্ছে তিনি এসব নিদর্শন থেকে অন্ধ করে দেন, সে চোখ দ্বারা তা দেখে না, কান দ্বারা তা শ্রবণ করে না, অন্তর দ্বারা তা চিন্তা করে না, সে হিদায়াত থেকে বঞ্চিতঐ ব্যক্তির ন্যায় যে আবক্ষ পানিতে থেকেও তৃষ্ণায় পানি পানি চিৎকার করছে, আর পানির অস্তিত্ব অস্বীকার করছে। অতএব এসব কুদরত দেখে আল্লাহকে জানা, তার শোকর ও প্রশংসা করা এবং তার নিকট আকুল প্রার্থনা করা প্রত্যেকের জন্য জরুরী। {“মিফাতুহু দারুস সাআদাহ” লি ইব্‌নিল কাইয়ূম: (১/২৫৬)}

No comments:

Post a Comment