Saturday, January 7, 2012

জাহান্নামে প্রবেশের পর জাহান্নামীদের অবস্থা


জাহান্নামে প্রবেশের পর জাহান্নামীদের অবস্থা

আল্লাহ তায়ালা ফরমান-
“অতঃপর, হে পথভ্রষ্ট মিথ্যাবাদীবৃন্দ কণ্টকময় বৃক্ষফল হবে তোমাদের খাদ্য। এর দ্বারা তোমাদের উদরপূর্তি করতে হবে। আর ফুটন্ত গরম পানি পান করতে হবে। (সূরা ওয়াকিয়াঃ৫১-৫৫)
আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ফরমান-
“আমি পাপিদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষেপ করব”। (সূরা মারইয়ামঃ৮৬)
হযরত ইমরান বলেন- আমরা জানতে পেরেছি যে, কবর থেকে জাহান্নামীদের পিপাসার্ত অবস্থায় উঠানো হবে। আর কিয়ামতের মাঠেও জাহান্নামীরা তৃষ্ণার্ত অবস্থায় দন্ডায়মান থাকবে। উক্ত আয়াতের তাফসীরে হযরত মুজাহিদ বলেন যে, পিপাসার তীব্রতার কারণে জাহান্নামীদের ঘাড় বাঁকা হয়ে যাবে। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান- ইহুদী নাসারাগনকে জিজ্ঞাসা করা হবে তোমরা কি চাও? তারা বলবে- হে আল্লাহ আমরা তৃষ্ণার্ত আমাদেরকে পানি দিন। তখন তাদের প্রতি ইঙ্গিত হবে তোমরা সামনের দিকে হাটছনা কেন? অতঃপর তারা জাহান্নামের দিকে যেতে থাকবে। তখন তারা দূত থেকে পানির মত দেখতে থাকবে,  তখন তারা একে অপরের সাথে গল্প করতে করতে যেতে থাকবে। এমতাবস্থায় তারা জাহান্নামে পতিত হবে।
হযরত হাসান বসরী (রহঃ) থেকে মুহাদ্দিস হযরত আইয়ুব (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, মনে রেখো কিয়ামতের মাঠে ৫০ হাজার বছর এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তখন এক লোকমা খাদ্য, এক ঢোক পানিও পাবে না। পানির পিপাসায় ঘাড় বাঁকা হয়ে যাবে। ক্ষুধায় পেট পুড়ে যাবে। অতঃপর এ অবস্থায়ই জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। অথবা ফুটন্ত গরম পানি পান করতে দেয়া হবে। এ পানির গরমের তীব্রতায় পেটের নাড়ীভুড়ি বেরিয়ে যাবে।
হযরত কা’ব বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক যার উপর ক্রোধান্বিত হবেন তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিবেন। তখন এক লক্ষ বা আরো অধিক ফেরেশতা তাকে গ্রেফতার করবে। তার মাথা ও পা একত্রিত করা হবে। তারপর অধঃমুখ করে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
হযরত কাব বলেন, ফেরেশতাদের ক্রোধের চাইতে আগুনের ক্রোধ ৭০ গুন বেশী হবে। তারপর হযরত কাব বলেন, অপরাধীরা এক মুহূর্তের জন্য একটু পানি চাইবে। তখন তাদেরকে পানি দেয়া হবে বটে কিন্তু পানির ভীষণ উত্তাপে মুখের গোশত গলে পুড়ে যাবে। তারপর তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

No comments:

Post a Comment