মীলাদুন্নবীর গোড়ার কথা
খৃষ্টানরা যে ভাবে ভাল একটি উদ্দেশ্য নিয়ে হযরত ঈসা (আঃ) এর জন্ম দিবস
পালন করা শুরু করেছিল ঠিক সেই ভাবেই শুরু হয়েছিল মীলাদুন্নবী উদযাপন। জনৈক বাদশাহর
মনে খেয়াল হল যে, খৃষ্টানরা যখন ক্রীস্টমাস ডে পালন করে তখন আমরাও যদি আমাদের নবীর
জন্ম দিবস পালন করি তাহলে ক্ষতি কি? ব্যস! যেই ভাবা সেই কাজ। কিন্তু আজ দেখুন সেটা
কোন পর্যায়ে পৌছে গেছে।
সবচেয়ে বড় পরিতাপের বিষয় হল, মীলাদুন্নবী উদযাপনের নামে আজ যা কিছু হচ্ছে
সব দ্বীনের নামে হচ্ছে এবং রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহব্বত
করা হচ্ছে। আর মনে করা হচ্ছে সাওয়াবের কাজ করছি আমরা। ১২ই রবিউল আউয়াল আলোকসজ্জা
করে, মিছিল করে, র্যালি বের করে, তোরণ আর গেট নির্মাণ করে আমরা ইশকে রাসুলের
পরিছয় দিতে চাচ্ছি। অথচ এই সব লোকদের জীবনে রাসুলের কোন সুন্নাত, রাসুলের কোন
আদর্শ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইসলামের তরীকা তো এটা নয়, সাহাবায়ে কেরামের তরীকাও এটা
নয়। সাহাবায়ে কেরাম দেখিয়ে গেছেন কীভাবে ইশক রাসুলের বর্হিপ্রকাশ ঘটাতে হয়।
No comments:
Post a Comment