খাওয়ার মাসায়েল
1. খাওয়ার পূর্বে জুতা খুলে নেয়া আদব। আজকাল চেয়ার টেবিলে খেতে যেয়ে অনাকেই এই আদবটি রক্ষা করেন না। খেয়াল রাখা চাই।
2. খাওয়া শুরু করার পূর্বে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধৌত করে নেয়া সুন্নাত।
3. কুলি করা সুন্নাত, যদি প্রয়োজন হয়।
4. বিনয়ের সাথে, বিনয়ের ভঙ্গিতে বসা আদব। আসন গেড়ে বসা বেশী খাওয়ার নিয়তে বা তাকাব্বুরের জন্যে হলে মাকরুহ, অন্যথায় জায়েয।
5. দস্তর খানা বিছানো সুন্নাত।
6. যমীনের উপর বসবে এবং বসার বরাবর খাদ্যের বরতন রাখবে। চেয়ার টেবিলে খাওয়া নিষিদ্ধ না হলেও যেহেতু চেয়ার টেবিলে খাওয়াতে অনেকগুলো সুন্নাত ও আদব বর্জিত হয়, অতএওব তা পরিত্যাজ্য।
7. হেলান দিয়ে না খাওয়া (এমনকি হাতে ভর করেও না)।
8. খাওয়ার শুরুতে দুয়া পরা সুন্নাত।
9. ডান হাতে খাওয়া সুন্নাত। প্রয়োজনে বাম হাতের সহযোগিতা নেয়া যায়।
10. নিজের শরীরের এসলাহ এবং আল্লাহর নির্দেশ পালনের নিয়তে খেতে হবে।
11. তিন আঙ্গুলের (বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা) দ্বারা খাওয়া সুন্নাত। প্রয়োজনে তিনের অধিক ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
12. এক পদের খানা হলে নিজের সম্মুখ থেকে খাওয়া অন্যের সম্মুখ থেকে না নেয়া।
13. প্রথমে পাত্রের মাঝ খান থেকে খানা নিবে না বরং পাশ থেকে নিতে থাকবে, কেননা মাঝখানে বরকত নাযিল হয়।
14. খেজুর বা এ জাতীয় খাদ্য যেমন বিস্কুট মিষ্টান্ন একটা একটা করে খাওয়া, এক সঙ্গে একাধিক সংখ্যক করে না খাওয়া।
15. গরম খাদ্য/পানীয় ফুঁক দিয়ে ঠান্ডা না করা।
16. খাদ্যদ্রব্য পড়ে গেলে তা উঠিয়ে (প্রয়োজনে পরিষ্কার করে) খাওয়া সুন্নাত।
17. খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে কোন দোষ ত্রুতি না লাগানো উচিত। রান্নার দোষ বলা খাদ্য দ্রব্যের দোষ বলার অন্তর্ভুক্ত নয়।
18. খাওয়ার সময় এমন সব কথা বা আচরণ থেকে বিরত থাকা উচিত, যাতে অন্যের মনে ভয় বা ঘৃনার উদ্রেক হতে পারে।
19. পেটে কিছু ক্ষুধা থাকা অবস্থায়ই খানা শেষ করা উত্তম।
20. খাবারের বর্তন, পেয়ালা ইত্যাদি সাফ করে খাওয়া এবং আঙ্গুল সমূহ ভাল করে চেটে খাওয়া সুন্নাত। আঙ্গুল চাটার সুন্নাত তারতীব হল- প্রথমে মধ্যমা, তারপর তর্জনী, তারপর বৃদ্ধা। আর খাওয়ার মধ্যে পাঁচ আঙ্গুল ব্যবহৃত হলে তারপর অনামিকা, তারপর কনিষ্ঠা।
21. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়ার শেষে হাত ও মাথায় ভিজা হাত বুলিয়ে নিতেন। রুমাল ইত্যাদি দ্বারা হাঁট মুছে নেয়াতেও কোন দোষ নেই। টিস্যু ব্যবহারে কোন ক্ষতি নেই।
No comments:
Post a Comment