Friday, October 21, 2011

বিপদ-আপদ ও বালা-মুসীবত কেন আসে এবং তখন কী করণীয়?


বিপদ-আপদ ও বালা-মুসীবত কেন আসে এবং তখন কী করণীয়?

­মানুষের উপর বিপদাপদ ও বালা-মুসীবত কখনও তার পাপের কারণে এসে থাকে। এটা এ জন্যে এসে থাকে যেন সে ভবিষ্যতে পাপের সতর্ক হয়ে যায়। অতএব এ বিপদ-আপদ তার প্রতি এক প্রকার রহমত।
আবার কখনও বিপদ-মুসীবত তার পরীক্ষা স্বরুপ এবং তার দরজা বুলন্দ করার জন্যও এসে থাকে। এটাও তার প্রতি আল্লাহর রহমত। তবে বিপদ-আপদ আসলে এটা নিজের পাপের কারণেই এসেছে তাই মনে করতে হবে এবং সে প্রক্ষিতে বিনয়ী হতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আর বিপদ থেকে পরিত্রাণ চাইতে হবে।
এ কথা বলা যাবে না কিংবা মনে করা যাবে না যে, আমার পরীক্ষা চলছে, কেননা এরুপ বলা বা মনে করার দ্বারা এটা প্রতীয়মান হতে পারেযে, আমার পাপ নেই। অতএব পাপের কারণে আমার এ বিপদ ঘটেনি বরং আমি পরীক্ষা দিয়ে মর্যাদা বুলন্দ হওয়ার পর্যায়ে পৌছে গেছি। এটা এক ধরনের বড়ায়ী বা অহঙ্গকারের শামিল হয়ে যেতে পারে।
সারকথা বিপদ-আপদের সময় করণীয় হলঃ
v  বিপদ-আপদকে আল্লাহর রহমত মনে করতে হবে।
v  তা নিজের পাপের কারণে ঘটেছে ভেবে আল্লাহর কাছে বিনয়ী হতে হবে।
v  পরিত্রাণের জন্য দুয়া করতে হবে। আল্লাহর নিকট বিপদ চেয়ে নেয়া ঠিক নয়।
v  সবর করতে হবে বে-সবরী ও হাহুতাশ করা যাবে না।
*        যে কোন সমস্যা ও বিপদ মুছীবত দেখা দিলে দুই রাকাআত সালাতুল হাজত নামায পড়ে আল্লাহর নিকট থেকে পরিত্রানের জন্য দুয়া করা সুন্নাত। বিপদ-আপদ বা সমস্যা দেখা দিলে সেই পেরেশানীতে পড়ে আল্লাহ থেকে বিমুখ হওয়া এবং ইবাদত ও আল্লাহর স্মরণ থেকে পিছিয়ে অন্যায়।
*        ছোট-বড় যে কোন ধরনের বিপদ দেখা দিলে এমনকি শরীরে কাটা বিদ্ধ হলেও নিম্নোক্ত দুয়া পাঠ করবে-
 “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিওন”
*        কোন কিছু হারিয়ে গেলে ৪১ বার “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিওন” পড়া অত্যন্ত ফলদায়ক এবং এটা পরীক্ষিত আমল।

No comments:

Post a Comment