পর্দার প্রয়োজনীয়তা
পর্দার শাব্দিক অর্থ ঢাকিয়া রাখা। শরীয়তের পরিভাষায় পর্দার অর্থ হইল- পুরুষের দৃষ্টি হইতে নারীর সর্বাংগ ঢাকিয়া রাখা এবং নারীর দৃষ্টি হইতে পুরুষের দেহ বাচাইয়া রাখার নামই পর্দা। পর্দা করা প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য কর্তব্য বা ফরজ। যাহাদেরকে চিরদিনের জন্য বিবাহ করা হারাম কেবলমাত্র তাহাদের সাথে দেখা দেওয়া জায়েয। ইহাদেরকে মোহরেম বলা হয়। গাইরে মোহরেম বা যাহাদের সাথে বিবাহ জায়েয তাহারা আত্নীয় কিংবা অনাত্নীয়, নিকটতম বা যত দূরেরই হউক না কেন তাহাদের সাথে দেখা সাক্ষাত ও নির্জন আলাপ করা হারাম।
“ওয়া কারনা ফী বুয়ুতিকুন্না ওয়ালা তাবাররাজনা তাবার রুজাল জাহিলিয়্যাতাল উলা”।
অর্থঃ হে স্ত্রী লোকগণ! তোমরা নিজ নিজ গৃহে অবস্থান কর। প্রাচীন মূর্খ যুগের মত নিজদিগকে প্রদর্শন করিয়া বেড়াইও না”। (সূরা আহযাব-৩৩)
আরেকটি আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন,
“হে নবী! আপনি ঈমানদার রমণীদেরকে বলিইয়া দেন, তাহারা যেন পর পুরুষ হইতে নিজেদের দৃষ্টি ফিরাইয়া রাখে এবং নিজেদের গুপ্তাঙ্গের সতীত্ব রক্ষা করে ও নিজেদের শোভা মন্ডিত সাজ সজ্জা(পর পুরুষের কাছে) প্রকাশ না করে”।
গুপ্তাঙ্গের ব্যাখ্যায় হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলিয়াছেন- রমনীগনের সর্বাংগ গুপ্তস্থান, লজ্জার স্থান, সৌন্দর্যপূর্ণ। যখন তাহারা
বাহিরে বের হয় তখন শয়তান তাহাদের প্রতি পুরুষদের আকর্ষণ সৃষ্টি করিয়া দেয়।
অতএব কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানলাম যে, প্রত্যেক নর-নারীর জন্য পর্দা
করা ফরয। পরস্পরের প্রতি দৃষ্টি করা হারাম। নারীদের সর্বাঙ্গ ঢাকিয়া রাখার নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় যাহারা উলঙ্গ বা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় চলে এবং যাহারা উহা
সমর্থন করে তাহাদের মুসলমান দাবি করার কতখানি অধিকার আছে তাহা সকলেই বুঝিতে পারেন।
অনেকে বলে পর্দা করা না করা মনের ব্যাপার। মন ভাল থাকিলে পর্দার দরকার হয় না। শরীয়তের
আদেশ নিষেধে মন ভাল-মন্দ নিয়া বিচার হইবে না। শরীয়তের হুকুম অনুযায়ী কাজ করিতে
হইবে। মন যতই পরিষ্কার থাকুক না কেন তাহাতে চলিবে না। কোরআন হাদীসের নিয়ম অনুযায়ী
পর্দা করিতে হইবে।
সুবহানআল্লাহ। খুবই সুন্দর লেখা। অসংখ্য ধন্যবাদ।
ReplyDelete